দর্পনে প্রতিফলন: বস্তুর একটি বিন্দু ০ থেকে একটি সমতল দর্পণ MM এর সামনে থাকে তখন আমাদের স্বাভাবিক চোখে তার দুটি প্রতিবিম্ব তৈরি হয়। একটি প্রতিবিম্ব বিন্দুটির প্রকৃত অবস্থানে তৈরি হয়, অন্যটি হয় দর্পণের পেছনে। অবস্থানে। দেখা যাক এই দ্বিতীয় প্রতিবিম্বটি কীভাবে তৈরি হয়।
০ থেকে প্রতিফলিত অনেক রশ্মির মধ্যে দুটি রশ্মি OA এবং OB ছবিতে দেখানো হয়েছে। দর্পণে প্রতিফলনের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিফলনের পর এরা AC এবং BD পথে অগ্রসর হয়ে চোখে প্রবেশ করে। অর্থাৎ চোখ দেখতে পায় দুটি রশ্মি AC এবং BD, যারা I বিন্দু থেকে আগত বলে প্রতীয়মান হয়। তাই চোখ। বিন্দুতে ০- এর একটি বিম্ব দেখতে পায়।
পেরিস্কোপে প্রতিফলন: পেরিস্কোপ তৈরি হয় একটি লম্বা টিউব এবং দুটি ক্ষুদ্র সমতল দর্পণ দিয়ে। টিউবের দুই প্রান্তে দর্পণ দুটিকে টিউবের দেয়ালের সাথে ৪৫° কোণে স্থাপন করা হয়, ছবিতে যেমন দেখানো আছে। দর্পণগুলো পরস্পর সমান্তরাল থাকে।


ছবিতে দেখানো একটি বস্তুর একটি বিন্দু থেকে আলোকরশ্মি এসে পেরিস্কোপের A প্রান্ত দিয়ে প্রবেশ করে প্রথম দর্পণ M-এ আপতিত হয়, এবং সেখানে প্রতিফলনের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিফলিত হয়ে দ্বিতীয় দর্পণ N-এ আপতিত হয়। দ্বিতীয় দর্পণে পুনরায় প্রতিফলিত হয়ে সেই রশ্মি পেরিস্কোপের B প্রান্ত দিয়ে নির্গত হয়। সেখানে আমাদের চোখে যদি এই রশ্মি আপতিত হয় তাহলে চোখ দেখে যে NB বরাবর আলো আসছে, সুতরাং ০ বিন্দুর একটি বিম্ব চোখ দেখতে পায় এই রেখা বরাবর । বিন্দুতে।
চোখের সামনে যদি কোনো বাধা থাকে (ছবিতে PQ), তাহলে বাধার অন্য পাশের বস্তু বা ঘটনা দেখার জন্য অনেক সময পেরিস্কোপ ব্যবহার করা হয়। স্টেডিয়ামে ভীড়ের মধ্যে খেলা দেখার জন্য পেরিস্কোপ ব্যবহার করা যায়। সমুদ্রপৃষ্ঠে কী আছে তা ডুবোজাহাজ থেকে দেখার জন্যও এর ব্যবহার বেশ প্রচলিত। নতুন শব্দ: দর্পণ, সমতল দর্পণ, প্রতিফলন, শোষণ, নিয়মিত প্রতিফলন, বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন, প্রতিবিম্ব, আপতন কোণ ও প্রতিফলন কোণ।
নতুন শব্দ: দর্পণ, সমতল দর্পণ, প্রতিফলন, শোষণ, নিয়মিত প্রতিফলন, বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন, প্রতিবিম্ব, আপতন কোণ ও প্রতিফলন কোণ।
এই অধ্যায়ে আমরা যা শিখলাম
• আলো ছাড়া কোনো কিছু দেখা যায় না। কোনো বস্তুতে আলো পড়ে তা আমাদের চোখে ফিরে আসলেই আমরা বস্তুটি দেখতে পাই।
• আলো সরলরেখায় চলে।
• কোনো বস্তুতে আলো পড়ে তা যদি বাধা পেয়ে ফিরে আসে, তাহলে তাকে প্রতিফলন বলে।
• কোনো বস্তুতে আলো পড়ে তা যদি ফিরে না আসে, তাহলে তাকে শোষণ বলে।
• আপতন কোণ ও প্রতিফলন কোণ সমান।
• সকল পৃষ্ঠ থেকেই আলো প্রতিফলিত হয়।
• মসৃণ ও পালিশ করা পৃষ্ঠ থেকে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে।
• দর্পণে সৃষ্ট প্রতিবিম্ব বস্তুর সমান আকৃতির হয়।
• সমতল দর্পণে সৃষ্ট প্রতিবিম্বের পার্শ্ব পরিবর্তন ঘটে।
• দর্পণ থেকে বস্তুর দূরত্ব ও প্রতিবিম্বের দূরত্ব সমান।
Read more